১. এমন স্থানে অবস্থান করলে যেখানে পানি পাওয়ার আশা নেই।
২ . পানির অবস্থান স্থলে শত্রু, চোর, ডাকাত অথবা হিংস্র জন্তুর ভয় থাকলে।
৩. পানির সাথে থাকলে কিন্তু পরিমাণে এত কম যে পরবর্তীতে খাবার পানির সংকটের আশঙ্কা রয়েছে।
৪. পানি ব্যবহারে রোগ বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকলে।
৫. যদি পানি পাওয়া যায় কিন্তু তার দাম সাধ্যাতিরিক্ত হলে।
৬. অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় পানি ব্যবহারে মৃত্যুর আশঙ্কা থাকলে।
৭. অযু বা গোসল করতে গেলে, এমন নামায চলে যাওয়ার আশংকা থাকলে যার কাযা নেই।
৮. পানি ঘরেই আছে কিন্তু এত দুর্বল যে উঠে পানি নেয়ার ক্ষমতা নেই।
৯. যানবাহনে থাকলে।
১০. শরীরের অধিকাংশ স্থানে বসন্ত বা জখম থাকলে।
তায়াম্মুমের ফরজ কয়টি
১. আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পাক হওয়ার নিয়ত করা।
২. সমস্ত চেহারা মাসেহ করা।
৩. কনুই পর্যন্ত দু’হাত মাসেহ করা।
তায়াম্মুমের নিয়ম
১. বিস্মিল্লাহির রহমানির রহীম বলে তায়াম্মুমের নিয়ত করবে।
২. তারপর দু’হাতের তালু একটু প্রসারিত করে ধীরে ধীরে পাক মাটির উপর মারবে।
৩. বেশি ধূলাবালি হাতে লেগে গেলে ঝেড়ে নিয়ে অথবা মুখ দিয়ে ফুঁক দিয়ে তা ফেলে দেবে।
৪. তারপর দু’হাত এমনভাবে সমস্ত মুখমণ্ডলের উপর মাসেহ করবে যেন চুল পরিমাণ স্থান বাদ না পড়ে। দাড়িতেও খেলাল করতে হবে।
৫. তারপর দ্বিতীয়বার এভাবে মাটির উপর হাত মেরে এবং ঝেড়ে নিয়ে প্রথমে বাম হাতের চার আঙ্গুলের মাথার নিম্নভাগ দিয়ে ডান হাতের আঙ্গুলের উপর কনুই পর্যন্ত নিয়ে যাবে।
৬. তারপর ডান হাতের দ্বারা অনুরূপ বাম হাতে মাসেহ করবে।