“হে আদম সন্তান! নিশ্চয় আমরা তোমাদের জন্য এমন পোশাক নাযিল করেছি যা তোমাদের লজ্জাস্থানকে ঢেকে রাখবে এবং যা হবে ভূষণ। আর তাকওয়ার পোশাকই সর্বোত্তম পোশাক।” (সূরা আল আরাফ: ২৬) সুতরাং একজন মুসলিমের পোশাকের মাধ্যমে
* লজ্জাস্থান আবৃত হবে। সৌন্দর্য বর্ধিত হবে। তাকওয়ার প্রকাশ ঘটবে।
পোশাকের ক্ষেত্রে ইসলামী মূলনীতিগুলো হচ্ছে-
১ . পোশাক সতরকে আবৃত করবে-
* পুরুষের সতর নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত।
• মহিলাদের দুই হাতের তালু, মুখমণ্ডল, দু’পায়ের পাতা ছাড়া সমস্ত দেহ।
২. সৌন্দর্য বৃদ্ধিকরণ এবং লজ্জাস্থানের হেফাযত করা। “হে বনী আদম! তোমাদের শরীরের লজ্জাস্থানগুলো ঢাকার এবং তোমাদের দেহের সংরক্ষণ ও সৌন্দর্য বিধানের উদ্দেশ্যে আমি তোমাদের জন্য পোশাক নাযিল করেছি।” (সূরা আল আরাফ: ২৬)
৩. ব্যক্তির পদমর্যাদা অনুযায়ী হবে, তবে অহংকার প্রকাশের জন্য দামী পোশাক পরা হারাম। “এ সবই এজন্য) যাতে যে ক্ষতিই তোমাদের হয়ে থাকুক তাতে তোমরা মনক্ষুন্ন না হও। আর আল্লাহ তোমাদের যা দান করেছেন। সেজন্য গর্বিত না হও।” (সূরা আল হাদীদ: ২৩) ৪. অমুসলিমদের বিজাতীয় সংস্কৃতির পরিচয়মূলক পোশাক পরা হারাম। “যে ব্যক্তি কোন জাতির সাদৃশ্য গ্রহণ করবে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।” (আবু দাউদ)
৫. নারী-পুরুষ একে অপরের বেশ-ভূষা ধারণ করা হারাম। (সহীহ আল বুখারী)
জন্য অর্থ ও রেশমি কাপড় হারাম।
হে মুহাম্মদ! তাদেরকে বলে দাও, আল্লাহ তার বান্দাদের জন্য যেসব সৌন্দর্য সামগ্রী সৃষ্টি করেছেন, সেগুলোকে হারাম করেছেন? আর আল্লাহর দেয়া পবিত্র জিনিসগুলো-কে নিষিদ্ধ করেছে? (সূরা আল আরাফ : ৩২)
৭. পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করা (তোমার পোশাক পবিত্র রাখো)। ( সূরা আল মুদ্দাসির : ৪)
৮. সর্বোপরি পোশাক তাকওয়ার পরিচয় বহন করবে। “হে বনী আদম! তোমাদের শরীরের লজ্জাস্থানগুলো ঢাকার এবং তোমাদের দেহের সংরক্ষণ ও সৌন্দর্য বিধানের উদ্দেশ্যে আমি তোমাদের জন্য পোশাক নাযিল করেছি।” (সূরা আল আরা