হযরত ওমর রাদ্বি আল্লাহু আ’নহু এর পরিচিতি” তাঁর মূল নাম ওমর। উপনাম আবু হাফস, উপাধী আল ফারুক। পিতার নাম খাত্তাব এজন্য তাঁকে ওমর ইবনে খাত্তাব বলা হয়। এবং মাতার নাম হানতামা। তাঁর ৮ম পুরুষের ক্রমধারা এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে মিলে যায়। তিনি কুরাইশ বংশোদ্ভূত। ইসলাম গ্রহণ: তিনি নবুয়তের ৬ষ্ঠ বছরে, কারো কারো মতে তিনি নবুয়তের পঞ্চম বছরে ইসলাম কবুল করেন। তাঁর ইসলাম গ্রহণ দ্বারা মুসলমানদের সংখ্যা চল্লিশে এসে দাঁড়ায়। তখন কুরআনের يَا أَيُّها مِنَ الْمُؤْمِينَ و النَّبِي حَسْبُكَ اللهُ وَمَنِ اتبعك . আয়াতটি নাযিল হয়।
অর্থ: হে নবী! আপনার জন্য এবং যেসব মুসলমান আপনার সাথে রয়েছে। তাঁদের সবার জন্য আল্লাহ যথেষ্ট (আনফাল- ৬৪ পৃষ্ঠা)
হযরত আবু বকর রাদ্বি আল্লাহু আ’নহু এর ইন্তিকালের পর হিজরী ১৩ সালের ২৩শে জুমাদাল উখরা মোতাবেক ২৪শে আগষ্ট ৬৩৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি খিলাফতের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। খলীফা হওয়ার পর তিনি এ দো’আ করেন-
اللَّهُمَّ إِنِّي ضَعِيفٌ فَقَونِي اللَّهُمَّ إِنِّي غَلِيظٌ فَلَيْنِي
অর্থ: হে আমার অনিদুর্গা আমার পরিকল্পনা করুন। অনিকাসেম অন্যকে কোমল করুন। অমি কৃপণ, অমকে দানশীল করুন।
اللَّهُمَّ اِنّى بَخِيلَ فَسَجِّنِىَ
তাঁর খিলাফত দশ বছর ৬ মাস স্থায়ী হয়। তাঁর বর্ণিত হাদীসের সংখ্যা ৫৩৯টি। তন্মধ্যে বুখারী মুসলিমে হাদীসের সংখ্যা ১০টি। রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যস্ত থাকায় তিনি বেশি হাদীস বর্ণনা করতে পারেন নি।
হিজরী ২৩ সালের ২৪শে জিলহজ্ব বুধবার মাসজিদে নববীতে ই’শা কিংবা ফজরের নামাযের ইমামতি করা অবস্থায় আবু লুলুর বিষাক্ত তরবারির আঘাতে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। অনন্তর ২৭ই যিলহজ্ব তারিখে শহীদ হন। হযরত আয়েশা রাদ্বি আল্লাহু আ’নহা এর অনুমতিক্রমে হযরত সিদ্দীকে আকবার রাদ্বি আল্লাহু আ’নহু এর কবরের পাশে তাঁকে সমাহীত করা হয়