Home » ইস্তেখারা দোয়া কিভাবে করবেন

ইস্তেখারা দোয়া কিভাবে করবেন

ইস্তেখারা নামাজের নিয়ম

by inthenameofallah
ইস্তেখারা দোয়া

ইস্তিখারা একটি ভাল কাজ। ইস্তিখারা শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো; কারও কাছে কল্যাণের দো’আ করা।

এখানে শরীয়’তের পরিভাষায় ইহার অর্থ হলো, নামাযের ফযিলত ও নিয়ম পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ কাজের মধ্যে যেমন ব্যবসা শুরু করা, ব্যবসায় অংশীদার হওয়া কিংবা বিয়ে করা বা অন্য কোনমল নব্য কাজের মধ্যে কল্যাণ আছে কিংবা নেই। সেই কাজটি করবে কি করবেন বিশেষ ব্যাপারে আল্লাহু তা’আলার কাছে পরামর্শ চাইবে। ইহাকে ইস্তিখারা বলে।

ইস্তেখারা দোয়া

হযরত জাবের রাদ্বি আল্লাহু আ’নহু হতে বর্ণিত; তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে প্রত্যেক কাজে আল্লাহু তা’আলার নিকট ইস্তিখারা করার নিয়ম ও দো’আ শিক্ষা দিতেন যেভাবে তিনি আমাদেরকে কুরআন শরীফের সূরা শিক্ষা দিতেন। তিনি বলতেন যখন তোমাদের কেউ বিশেষ কোন কাজ করার ইচ্ছা করবে তখন সে যেন ফরয নামায ব্যতীত দুই রাকাআ’ত (নফল) নামায পড়ে অত:পর দো’আ করে-

اللَّهُمَّ إِنِّي اَسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ وَاسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ وَاسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ الْعَظِيمِ فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلَا أَقْدِرُ اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ وَتَعْلَمُ وَلَا أَعْلَمُ وَأَنْتَ عَلَّامُ الْغُيُوبِ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الْأَمْرَ خَيْرٌ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي أَوْ قَالَ فِي عَاجِلِ أَمْرِي وَأَجِلِهِ فَاقْدِرُهُ لِى وَيَسْرُهُ لِي ثُمَّ بَارِكْ لِي فِيهِ وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الْأَمْرَ شَرٌّ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي أَوْ قَالَ فِي عَاجِلِ اَمْرِى وَاجِلِهِ) فَاصْرِفْهُ عَنِّى وَاصْرِفْنِي عَنْهُ وَاقْدِرْ لِيَ الْخَيْرَ حَيْثُ كَانَ ثُمَّ ارْضِنِي بِهِ قَالَ وَيُسَمِّى حَاجَتَه – رواه البخاري

হে আল্লাহ! আমি আপনার ই’লম অনুযায়ী (আমার নিজের ব্যাপারে) আপনার নিকট কল্যাণ প্রার্থনা করিতেছি। এবং আপনার ক্ষমতার দ্বারা আপনার নিকট শান্তি কামনা করিতেছি এবং আপনার নিকট আপনার বিশাল অনুগ্রহ প্রার্থনা করিতেছি। কেননা আপনি সব কিছুর উপরে ক্ষমতাবান। অথচ আমি কোন কিছুতেই ক্ষমতা রাখি না। আপনি (আমার ইস্পিত বস্তু সম্পর্কে) জানেন। অথচ আমি (উহার কিছুই) জানিনা। আপনি (আমার অদৃশ্য বিষয়ের পরিজ্ঞাত) হে আল্লাহ! (আমি যে কাজটি করতে চাই) যদি এই কাজটি আমার পক্ষে ভাল হবে বলে আপনি জানেন, আমার দ্বীনের ব্যাপারে,

আমার জীবন ধারণের ব্যাপারে এবং আমার কাজের শেষ ফলের ব্যাপারে (অথবা তিনি বলেছেন বর্ণণাকারীর সন্দেহ আমার ইহ ও পরকালের ব্যাপারে) তাহলে আপনি উহা আমার জন্য সহজ করে দিন। অতঃপর আমার জন্য উহাতে বরকত দান করুন। আর যদি আমার জন্য এই কাজটি খারাপ জানেন আমার দ্বীনের ব্যাপারে। আমার জীবন ধারনের ব্যাপারে এবং আমার কাজের শেষ ফলের ব্যাপারে। (অথবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার ইহ কাল ও পরকালের ব্যাপারে) তাহলে তা আপনি উহা আমা হতে সরিয়ে নিন এবং আমার জন্য কল্যাণ নির্ধারণ করুন। উহা যেখানেই আছে। অতঃপর আপনি আমাকে (আপনার দেয়া কল্যাণের উপর) সন্তুষ্ট রাখুন। অত:পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সে (প্রার্থনাকারী) যেন নিজের প্রয়োজনীয় বিষয়ের নাম উল্লেখ করে। (বুখারী)

ইস্তেখারা নামাজের নিয়ম

ইস্তিখারা করা প্রথমে অযু করে দুই রাকাআ’ত ইস্তিখারার নামায পড়বে। এরপর খুব বিনয়ের মুস্তাহাব। এর নিয়ম হলো সহিত হাদীসে বর্ণিত দো’আ করবে। অতঃপর আর কোন কথা-বার্তা না বলে পাক-পবিত্র বিছানায় ডান পাঁজরে কেবলামুখী হয়ে শুয়ে থাকবে এবং যে কাজের জন্যে ইস্তেখারা করা হচ্ছে তা মনে মনে কল্পনা করতে থাকবে। ইনশাআল্লাহ তিন রাত্রের মধ্যে স্বপ্নে উহার ভাল-মন্দ দেখতে পাবে, অন্যাথা সপ্তম রাত্রে ইনশাআল্লাহ অবশ্যই তা দেখতে পাবে।

জ্ঞাতব্য: উল্লেখিত দো’আ পড়ার সময় যখন هَذَا الْأَمْرَ পর্যন্ত পৌঁছবে, তখন দিলে দিলে প্রয়োজনীয় বিশেষ কাজ সম্পর্কে কল্পনা করবে।

You may also like